Tuesday, December 6, 2016

একটা সাবঅলটার্ন গল্প

মাঝে মাঝে দ্রোহ ভর করে। দু'পাঁচ মিনিট আস্ফালন করে। তার পর লেজ গুটিয়ে গর্তে পালায়। হাঁটুভাঙ্গা মেরুদন্ডবিহীন ব্যক্তিত্বহীনতা সদর্পে মঞ্চে ফিরে আসে। তার সে যে কি দোর্দন্ড প্রতাপ! তবে স্ট্রিং থিওরি বলে যে সব ডেটা এনক্রিপ্টেড থাকে। খুব অল্প কিছু সময় মনে হয় ঝড়-টড় আসলেই একদিন থেমে যাবে, পৃথিবী আবার শান্ত হবে, বিকেলে আমরা ব্যালকনি বা উঠোনে বসে মেলামাইনের কাপে লাল চা আর মুড়ি খাবো। বিড়ালটা ঝিমোবে। অথবা যে চিলটা দিনমান আকাশে গোল করে চক্কর খায়, কালারব্লাইন্ড আমি তার রঙ বুঝতে পারবো না। তার পর সন্ধ্যে হলে গাছের ফাঁক দিয়ে ল্যাম্প পোস্টের মৃদু হলদেটে আলো আসবে, কিন্তু সামনের বাড়ির মাস্টারনী প্রাইভেট পড়িয়ে বাসায় ফিরে রিক্সাভাড়া দিতে পারবে না। অথবা আমরা নক্ষত্রের রাত দেখবো না, আগেই ঘুমিয়ে পড়বো, অসম্ভব মায়াময় একটা ভোরের স্বপ্ন নিয়ে যাতে কাঠের জানালার ফাঁক দিয়ে সরু একটা রশ্মি মার্কিন কাপড়ের বিছানার চাদরে খেলা করে। কিন্তু কোন একটা কারণে সাড়ে ছয়টার এ্যালার্মটা কেন যেন বন্ধই করা যাবে না। নস্ট্রাডামাস এর ভবিষ্যৎবাণী সত্যি হয় নি যে। তবে একটা তারা খসে গিয়েছিলো, সে কথা দো'তলা-নিচতলার সবাই মনে রেখেছিলো। আর মনে রেখেছিলো কমলা রঙের হকি-স্টিক দিয়ে ক্রিকেট খেলা। মনে রাখেনি হারিয়ে যাওয়া ব্যাঙের ছানাটার কথা। অথবা মুকুলের কথা। অথবা পরম নির্ভরতার গৃহের গন্ধটার কথা।

শান্তি বর্ষিত হোক, মঙ্গল বিরাজ করুক।

No comments:

Post a Comment